বাতায়ন পাঠাগার
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পাঠাগারমুখী করতে বাতায়ন পাঠাগারের যাত্রা শুরু। শিখন উন্নয়ন ও মননশীলতা বিকাশে বিশেষায়িত এই পাঠাগারে বয়সক্রম অনুসারে রয়েছে বইয়ের সমাহার, রয়েছে নিরিবিলি পরিবেশে নিত্য নতুন বই পড়ার সুযোগ। বাতায়ন পঠাগারের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল এদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে একাডেমিক লেখাপড়া আনন্দময় করে তোলা। পাশাপাশি জ্ঞান আহরণে যেন ভাষা বাঁধা না হয়ে দাঁড়ায় সেজন্য ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় দক্ষ করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ। সম্পূর্ণ অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠান কাজ করতে চায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়া নিয়ে; তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠাগার নামক প্রতিষ্ঠানকে একাডেমিক/নন একাডেমিক সকল বিদ্যার সুতিকাগার হিসাবে জনপ্রিয় করে তুলতে। পাঠাগার হলো জ্ঞানের ভান্ডার, পাঠক তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। বই পড়ার অভ্যাস অনেক বদভ্যাস প্রতিহত করে। মাদকাসক্ত অস্থির যুবসমাজ, অ্যাসিড-সন্ত্রাসে বিপর্যস্ত নারী, নৈতিকতার চরম অবনতি, শিক্ষার নামে কুশিক্ষার বিস্তার, ঘুণে ধরা মননশীলতা রোধে পাঠাগার প্রয়োজন। জানার যেমন কোনো শেষ নেই, তেমনি পড়ারও কোনো শেষ । শিশুদের মধ্যে শিশুকাল থেকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। পাঠাগারের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে ‘পাঠাগার’ শব্দের ব্যাপক অর্থ সম্পর্কে ধারণা গড়ে উঠবে। অন্যদিকে এসব শিশু শিশুতোষ বইগুলো থেকে শুরু করে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা অজানা তথ্যমূলক বই সম্পর্কে জানতে পারবে। নতুন প্রজন্মের কাছ থেকে সৃজনশীল ও মননশীল কিছু আশা করতে হলে এর বিকল্প নেই।
পরিকল্পনা ও পরিচালনা-
বি.কে. সরকার | লালন
উচ্চমাধ্যমিকঃ রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী। উচ্চশিক্ষাঃ ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় দুই দশক ধরে কাজ করছেন পাঠাগারভিত্তিক অধ্যয়ন নিয়ে। শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন শেখাতে গড়ে তুলেছেন একাধিক অলাভজনক পাঠাগার। ভিন্নমাত্রার কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্ব:/মেডিকেল/বুয়েট ভর্তিতে বিগতবছরে দেশসেরা- ৪র্থ, ৬ষ্ঠ ও ১৩তমসহ অনেক সাফল্য অর্জনে ভূমিকা রেখেছেন।